সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ীর বিভিন্ন হাটে এখন ক্রেতার চেয়ে কোরবানীর পশুর সংখ্যাই বেশী। বিক্রির জন্য হাটে হাটে বিপুল পরিমাণ গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া তোলা হলেও সেই তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। আবার ক্রেতা কম থাকলেও দাম কিন্তু কমেনি।
ফলে যারা হাটে কোরবানীর পশু কিনতে আসছে তাদের অধিকাংশই বেশী দামের কারণে না কিনে ফিরে যাচ্ছে। এতে পশু বিক্রিতে ধস নেমেছে। বর্তমানে বেচাকেনা কম হচ্ছে। মানুষ গরু দেখতে আসছে, কিন্তু কিনছে না। আবার দামও কম বলছে ক্রেতারা। তবে তাদের আশা, ঈদের আগে কোরবানীর পশু বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে। দামও ভালো পাওয়া যাবে।
সরেজমিনে রাজবাড়ী সদর ও বসন্তপুর কুটিরহাট ঘুরে দেখা যায়, পশুর বেচাকেনা খুব কম হচ্ছে। ক্রেতারা এসে গরু দেখছে, কিন্তু কিনছে না। তারা দাম বেশীর কথা বলছেন। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গত শুক্রবারের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি হলে ক্রেতারা আসতে চান না। আবার ক্রেতারা দামও কম বলছেন। এসব কারণে আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।
সদর উপজেলার খানখানাপুর থেকে বসন্তপুর হাটে গরু কিনতে আসা আমিন মোল্লা বলেন, হাটে পশুর সংখ্যা বেশী হলেও দাম বেশী চাওয়া হচ্ছে। দেখে-শুনে দরদাম করে গরু কিনে নিয়ে যাবো।
মিজানপুর ইউনিয়নের নাওডুবি গ্রামের খামারী মাফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার খামারে মোটাতাজা করা ১১টি গরু এবার হাটে তুলেছি। তার মধ্যে ৩টি বিক্রি করেছি। গরু মোটাতাজাকরণে খাবার হিসেবে চালের কুড়া, গমের ভুষি, ভুট্টা, খড়, কাঁচা ঘাস এসব দিয়েছি। খাবারের দামও ছিল বেশী। যদি ২০হাজার টাকার উপরে প্রতি মণ হিসেবে গরুগুলো যদি বিক্রি করতে পারি তাহলে আমার লাভ হবে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফজলুল হক সরদার বলেন, এবারের ঈদে জেলায় প্রায় ৮০ হাজার গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রত্যেকটি হাটে আমাদের ভেটেরিনারী টিম রাখছি, যাতে মানুষ সুস্থ-সবল গরু কিনতে পারে। এছাড়া পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলায় এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২৯টি কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৭টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ২টি, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১০টি, পাংশা উপজেলায় ৭টি ও কালুখালী উপজেলায় ৩টি পশুর হাট বসেছে।
Leave a Reply